ডেস্ক রিপোর্ট::
ধামরাইয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাইয়ে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দেবাশীষ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনার পাঁচ দিন পার হলেও এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
তবে ধর্ষণকারীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনার পরের দিন ধর্ষক দেবাশীষের এক সহযোগী রিমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার ও মামলার সূত্র থেকে জানা যায়, আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে ওই কিশোরী। শুক্রবার (৬ জুলাই) বিকালে ওই কিশোরীর বোনের বান্ধবী ধামরাইয়ের কেলিয়া গ্রামের রিপন হোসেনের মেয়ে রিমা আক্তার তাকে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। পরে টাকার বিনিময়ে রিমা ওই স্কুলছাত্রীকে গাইরাকুল গ্রামের দেবাশীষের কাছে তুলে দেয়। পরে দেবাশীষ তার মালিকানাধীন ধামরাইয়ের আইঙ্গন এলাকার মেসার্স অর্নব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি গুদাম ঘরে ওই স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে। পরেতাকে ভয় দেখিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট খাইয়ে রাতভর তার ওপর চালায় পাশবিক নির্যাতন। শনিবার সকালে ওই কিশোরীর পরিবার খবর পেয়ে গুদাম ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় শনিবার বিকালে স্কুলছাত্রীর বোন বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে দেবাশীষের সহযোগী রিমা আক্তারকে আটক করে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বোন অভিযোগ করে জানান, তার বোনকে টাকার বিনিময়ে বখাটের হাতে তুলে দেয় তার বন্ধাবী। এ ঘটনার পাঁচ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত ধর্ষণকারীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, ‘স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় এক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনার প্রধান আসামি দেবাশীষকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুষ্কৃতকারীরা। রোববার (৫ মে) ...
পাঠকের মতামত